প্রত্যেক বছরের ন্যায় এ বছরও পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যের প্রত্যেকটি পুজো কমিটিকে অনুদান দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে কিন্তু এবছর অনুদানের পরিমাণ লাখের ঘর ছুঁয়েছে।
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বৃহস্পতিবার ঘোষণা করেছেন যে পশ্চিমবঙ্গের প্রায় ৪০০০০ দুর্গাপুজো কমিটি রাজ্য সরকারের কাছ থেকে ১ লক্ষ ১০ হাজার টাকা করে অনুদান পাবে। এই অনুদানটি গত বছরে ৮৫ হাজার টাকার অনুদান ছিল কিন্তু মমতা ব্যানার্জি আগামী বছর আরো ২৫০০০ টাকা বৃদ্ধির কথা বলেছিলেন এবং তা এই বছর তা বৃদ্ধি করে এক লক্ষ ১০ হাজার টাকা করেছেন। একটি পূজা আয়োজকদের সমাবেশে মমতা ব্যানার্জি বক্তব্য রেখে বলেন যে, “সরকার জনগণের পাশে দাঁড়িয়েছে, দুর্গাপূজা কেবল একটি ধর্মীয় উৎসব নয়, এটি একটি সাংস্কৃতিক উৎসব যা সমাজের বিভিন্ন ধরনের মানুষকে একত্রিত করে। আমরা চাই যে পূজা কমিটির সমস্ত আয়োজকরা কোন বাধা-বিপত্তি ছাড়াই সমস্ত কিছু পরিচালনা করতে পারেন। বর্ধিত আর্থিক সহায়তার পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি জানিয়েছেন যে কলকাতা পৌর কর্পোরেশন,পঞ্চায়েত, পৌরসভা, চিকিৎসা বিভাগ এম্বুলেন্স এবং দমকল বাহিনীসহ নাগরিক ব্যবস্থা এবং সরকারি বিভাগগুলি পূজা কমিটিগুলির ওপর কোনো রকম কোনো পরিসেবা চার্জ আরোপ করবে না।
এছাড়াও মমতা ব্যানার্জি পূজা কমিটি অর্থাৎ আয়োজকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন যে তারা যেন উৎসবের সময় নির্যাতিত হয়ে ফিরে আসা বাংলার পরিযায়ী শ্রমিকদের সহায়তা করে সামাজিক দায়িত্ব পালন করে। মমতা ব্যানার্জি বলেছেন, “আমি পূজা কমিটি গুলিকে অনুরোধ করব যে নির্যাতনের শিকার হয়ে ফিরে আসা পরিযায়ী শ্রমিকদের সাহায্য করুন আসুন আমরা একত্রিত হই এবং তাদের ত্রাণ এবং সম্মান প্রদান করি।”
এ বছরের সেপ্টেম্বর মাসের শেষ সপ্তাহে দুর্গাপূজা, যেটা মূলত বাঙালির সবথেকে বড় উৎসব। প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে পূজা কমিটিগুলো। সেই আবহে বৃহস্পতিবার কলকাতার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে রাজ্যের বিভিন্ন পূজা কমিটির উদ্যোক্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৈঠকে ছিলেন রাজ্যের প্রশাসনিক শীর্ষ কর্তারা, কলকাতা পৌরসভা, দমকল বিভাগ, সি এস সি, পুলিশ প্রশাসন, পরিবহন ও স্বাস্থ্য দপ্তরের মত পরিষেবা প্রদানকারী বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিরা। ক্ষমতায় আসার পর থেকেই মমতা ব্যানার্জি দুর্গাপুজোকে কেন্দ্র করে গোটা রাজ্যজুড়ে এক সামাজিক ও সাংস্কৃতিক আবহ তৈরি করেছেন। সরকারি অনুদান থেকে শুরু করে স্বাস্থ্য পরিষেবা সঠিক ব্যবস্থাপনা মহিলাদের জন্য পিঙ্ক পুলিশ সমস্ত ক্ষেত্রেই পূজোর সময় নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।
২০১৮ সালে রাজ্যের প্রতিটি ক্লাবকে দুর্গাপূজার জন্য ১০ হাজার টাকা করে অনুদান দেওয়া শুরু করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। ২০১৯ সালে অনুদানের পরিমাণ ২৫ হাজার টাকা এবং করোনার সময়ে একলাফে ৫০ হাজার টাকা করা হয়। ২০২২ সালে তা বেড়ে ৬০ হাজার এবং ২০২৩ সালে ৭০ হাজার টাকা করা হয়। ২০২৪ সালে আরও ১৫ হাজার টাকা বাড়ানো হয়, আর এবার হলো ১ লক্ষ ১০ হাজার।
বর্ষাকাল হল রোগের আঁতুড়ঘর। এই সময় রোগ সংক্রমণের ঝুঁকি একটু বেশিই থাকে। স্যাঁতশেতে ভাব এবং…
বাংলায় রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশকারীদের সংখ্যা ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে! বাংলায় অনুপ্রবেশ বন্ধে এনআরসি বাস্তবায়নের জন্য একটি মামলা…
রেসলিং দুনিয়ায় সব থেকে বড় তারকাদের মধ্যে একজন হলেন টেরি বোলিয়া, যিনি হাল্ক হোগান নামে…
Vivo X200 FE Price in India and Specifications:Vivo X200 FE 5G Price in India is…
IND vs ENG 4th Test: ভারতীয় দল ইংল্যান্ড সফরে যাওয়ার আগেই জানিয়েছে যে পুরো সিরিজ…
Iphone 16 vs Vivo X200 FE 5G: Vivo X200 FE 5G স্মার্টফোনটি ভারতের বাজারে আসার…